সুলতানদর্শন এবং উপনিবেশিক ঝাপসা চোখে কাঁটাবাছা
আমাদের ঘরে বাঁশের বেড়া ও খুঁটি ছিলো। বাবা-মা দুজনই তাম্বুল চিবাইতেন। প্রায়ই তাদের আঙুলে চুন লেগে থাকতো। এই চুন মোছার জন্য আলাদা কোনো রুমাল বা কাপড়ের ত্যানা ব্যবহার করতেন না। যত্রতত্র কিংবা বাঁশের বেড়া-খুঁটিতে চুন মুছতেন। এটি শুধু আমাদের ঘরেই না, প্রতিবেশিদের ঘরেও দেখেছি। আমার নানীও ব্যাপক তাম্বুল চিবাইতেন। একবার নানীদের একটি ঘর ভেঙে নতুন করে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হলো। আমার বলার বিষয় হচ্ছে, ওই ঘরের দরজার পাশের খুঁটিটি। সেখানে আমি একটা ঘোড়ার মুখ দেখতে পেতাম। আঙুলে লেগে থাকা চুন মুছতে মুছতে নানামুখি দাগে এই ঘোড়ার মুখাবয়ব তৈরি হয়েছিলো। তখন সেই খুঁটি উপড়ে ফেললে আমার মনোবেদনা সৃষ্টি হয়। যতটা মনে পড়ে আমি কান্নাকাটি করেছিলাম। বাড়ির বড়রা পাত্তা দেননি। এটি তাদের কাছে পাত্তা পাওয়ার মতো বিষয় ছিলো না। বরং আমার মামা কোথা থেকে যেনো আমাকে একটি মাটির তৈরি ঘোড়া এনে দিয়েছিলেন। সেটি পেয়ে কান্না থামলো আমার।